ইংরেজ শাসনের সূচনাপর্ব থেকেই মুসলিমরা সামাজিক শিক্ষাদীক্ষা সহ সব দিক থেকে পিছিয়ে ছিল। এ অবস্থায় মুসলিম সমাজের সংস্কার সাধনে এগিয়ে এলেন স্যার সৈয়দ আহম্মেদ খান। তিনি মুসলিমদের মধ্যে প্রগতিমূলক ধ্যানধারণার উন্মেষে আলিগড় আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।
> মতবাদ : তিনি প্রচার করেন- কোরানের কোথাও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি যুক্তি ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে কোরানের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন।
> আলিগড় আন্দোলনের উদ্দেশ্য: আলিগড় আন্দোলনের মূলত দু'টি উদ্দেশ্য ছিল- প্রথমত ইংরেজদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো। দ্বিতীয়ত - মুসলিম সমাজে আধুনিক শিক্ষার বিস্তার করা এবং সামাজিক সংস্কার সাধন করা।
> সংস্কার: আলিগড় আন্দোলনের মাধ্যমে সৈয়দ আহমেদ খান মুসলিম সমাজে সর্বপ্রথম শিক্ষার সংস্কারে উদ্যোগী হন। আর এই জন্য তিনি গাজিপুরে একটি ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। এছাড়া Scientific Society, Translation Society এবং আলিগড় অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপন করেন। সৈয়দ আহমেদ খান মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তৎপর হন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন। তিনি পুরুষদের বহুবিবাহ, তালাক প্রথা এবং বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তাঁর মত প্রকাশ করেছিলেন। নারীশিক্ষা প্রসারেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
মূল্যায়ন: আলিগড় আন্দোলন মুসলিম সমাজের সংস্কারের ক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতারও জন্ম দিয়েছিল- একথা বলা যায়।
0 Comments