বিশ্বপরিচয়' গ্রহলোক' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বুধ ও বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে যে আলোচনা করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো

 বিশ্বপরিচয়' গ্রহলোক' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বুধ ও বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে যে আলোচনা করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো ।


বুথ ও বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কিত তথ্য:

রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ জীবনে ছাত্র-পাঠ্য উপযোগী গ্রন্থ লেখার অবতারণা করেছেন 'বিশ্বপরিচয়' গ্রন্থে। প্রথম জীবনের ছাত্রদের সহজ সরল ভাষায় বিজ্ঞান চেতনা উপলন্ধির জন্য এই জগতের নানা বিষয় হালকা চালে সরস গদ্যে পরিবেশন করেছেন। 'গ্রহলোক' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই সৌরমণ্ডলের ন-টি গ্রহের পরিচয় দিয়েছেন। এমনকি তাদের আবর্তন, বিবর্তন, কক্ষপথ পরিভ্রমণ, আয়তন ও চারিত্রিক ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। গ্রহদের নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্য হল একটি নক্ষত্র। আর আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তা হল গ্রহ। এই গ্রহগুলি যেন সূর্য থেকে ছিঁড়ে পরা।


সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ। ইংরেজিতে বুধগ্রহকে বলে 'মার্করি'। এ গ্রহের অবস্থান সূর্য থেকে সাড়ে তিন কোটি মাইল দূরে। বুধের গায়ে ঝাপসা কিছু দাগ লক্ষ করা যায়। বুধ সূর্যের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তাপ পায়। সূর্যের চারিদিকে এ গ্রহের পরিভ্রমণ করতে সময় লাগে ৮৮ দিন। এ গ্রহের গতিবেগ সেকেন্ডে ত্রিশ মাইল। যা পৃথিবীর গতিবেগের তুলনায় সামান্য বেশি। প্রাবন্ধিকের মতে—"একে ওর রাস্তা ছোটো তাতে ওর ব্যস্ততা বেশি, তাই পৃথিবীর সিকি সময়েই ওর প্রদক্ষিণ সারা হয়ে যায়।” এ গ্রহের প্রদক্ষিণের যে পথ তার কেন্দ্রে সূর্য নেই। ফলে এ গ্রহ পরিভ্রমণের সময় কখনও সূর্যের নিকটে চলে যায়, কখনও দূরে চলে যায়। এ গ্রহে তাপের পরিমাণ অত্যধিক বেশি বলে সব পুড়ে যায়। এই তাপে বাতাসে থাকা অণুগুলি এত বেশি চঞ্চল হয়ে ওঠে যে তাদের ধরে রাখা সম্ভব হয় না। তেইশটা বুধগ্রহের সমান পৃথিবীর ওজন।


মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝখানে অনেকখানি ফাঁকা জায়গা। এখানে অনেকগুলি ছোটো ছোটো গ্রহ রয়েছে। এরপরেই বৃহস্পতির অবস্থান। প্রাবন্ধিকের মতে—“এই অতিক্ষুদ্রদের পরের রাস্তাতেই দেখা দেয় অতি মস্তবড়ো গ্রহ বৃহস্পতি।” বৃহস্পতির অবস্থান সূর্য থেকে প্রায় ৪৮ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল দূরে। এমনকি এ গ্রহ পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম তাপ পায়। সূর্য থেকে পৃথিবী যা তাপ পায় তার সাতাশ ভাগের এক ভাগ তাপ পায় বৃহস্পতি। সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে বারো মাস। পৃথিবী থেকে এ গ্রহের অবস্থান শুধু দূরে তাই নয় এর গমনও অতি ধীর গতিতে। পৃথিবী যেখানে প্রতি সেকেন্ডে উনিশ মাইল চলে সেখানে এ গ্রহ প্রতি সেকেন্ডে মাত্র আট মাইল চলে। প্রবন্ধিকের মতে—“কিন্তু ওর স্বাবর্তন অর্থাৎ নিজের মেরুদণ্ডের চার দিকে ঘোরা খুবই দ্রুত বেগে। অতবড়ো বিপুল দেহটাকে পাক খাওয়াতে ওর লাগে দশ ঘণ্টা।”


{দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমস্ত কলেজের জন্য কিংবা সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এই তথ্য জানানো হচ্ছে যে তারা আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়ার সমস্ত রকম সাজেশন গুলি ফলো করো এবং প্রজেক্টগুলি ফলো করো অবশ্যই তোমরা সেরা সেরা নাম্বার তুলবে আমরা আশা রাখি।}


Post a Comment

0 Comments