রূপনারানের কূলে কবিতাটির মূলভাব বিষয়বস্তু সহ আলোচনা।
-:সূচনা:-
রোগজর্জর, বার্ধক্যগ্রস্ত রবীন্দ্রনাথের শেষজীবনের অনুভব 'শেষ লেখা' বঙ কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি। 'শেষ লেখা'-র ১১ সংখ্যক কবিতা 'রূপনারানের কূলে' কবিতাটিও সেই ভাবনায় সমাহিত। পঙ্গুপ্রায় কবি গতিহীন, কর্মহীন জীবনে অসহিষ্ক হয়ে উঠেছেন। তিনি আজীবন পৃথিবীর বাস্তব জগতের ব্যস্ততার জগ সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে উঠেছেন। তাই এই বেদনা। তন্দ্রাচ্ছন্ন কবি যেন স্বপ্নময়তা হতে বাস্তবের কর্মমূখর জগতে জেগে উঠেছেন।
-:মূল ভাব:- কবি জানেন, পৃথিবীর সত্য ও বাস্তবের রূপ অতি কঠিন এবং বৃঢ়। তাতে আছে বেদনা, আঘাত ও যন্ত্রণা। তবু কঠিন এই বাস্তবকে তিনি ভালোবেসেছেন, কারণ 'সে কখনো করে না বঞ্চনা।' 'দুঃখ আছে নব নব, আঘাত খেয়ে অটল রব'-এমন বোধের আলোকে উদ্বুদ্ধ প্রাণ রবীন্দ্রনাথ কর্তব্যের ডাককে উপেক্ষা না করে সত্যকার বাস্তবের ঝঞ্ঝা মুখরতার মধ্যে ঝাঁপ দিতে চেয়েছেন।
-:কবিম্ভাবনার পরিপূর্ণতা:- এই থমকে থাকা দুঃখের জীবন থেকে জেগে উঠে শাশ্বত সত্য জগতের সকল দেনা কবি শোধ করে দিতে চান। তাতেই তিনি হয়ে উঠবেন পরিপূর্ণ। মৃত্যুতেও কবি তখন ব্যথিত হবেন না, কারণ বাস্তবের সত্যকে সঙ্গে নিয়ে তিনি 'পরম বন্ধু'-র দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়াবেন। জগতের 'যা সত্য, যা স্পষ্ট প্রত্যক্ষ' সেই রূপের জগতের কাঠিন্যতার সিঁড়ি বেয়েই তিনি পৌঁছে যাবেন অরূপের মাধুর্যতায়, সীমার তরণি বেয়ে অসীমের শূন্যতায়।
লিখেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাটের সুবিখ্যাত শিক্ষক"সুশান্ত বর্মন" স্যার। তাকে অসংখ্য "ধন্যবাদ" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইনকে ধরে তিনি রূপনারানের কূলে এটি এ বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
0 Comments