ঈশ্বরগুপ্তকে যুগসন্ধির কবি বলা যায় কিনা বিচার করো।অথবা,"ঈশ্বরগুপ্ত যুগসন্ধির কবি'- এই মন্তব্যটি বিচারকরে তোমার মতামত দাও।
ভূমিকা:
বাংলা কাব্যে অষ্টাদশ শতাব্দীর বিদায়ী মুহূর্তে মধুসূদনের আবির্ভাবের ঠিক পূর্বে আবির্ভূত হন ঈশ্বর গুপ্ত। অতীতের পুরোনো সুর, অন্যদিকে নতুন কালের পদধ্বনি— এ দুয়ের মধ্যবর্তী কবিমানস নিয়ে ঈশ্বর গুপ্তের আবির্ভাব। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, অন্যদিকে কবি। পুরোনো ও নতুনের সংঘাতের মধ্যে দণ্ডায়মান হয়ে কবিতা রচনা করেছিলেন। তাই তিনি যুগসন্ধির কবি নামে চিহ্নিত। অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁকে বলেছেন— 'The last of the Ancients' অর্থাৎ প্রাচীন ধারার শেষ কবি, আর অন্যদিকে তেমনি ছিলেন তিনি ‘The first of the Moderns' অর্থাৎ আধুনিক যুগের ধারার প্রথম কবি।”
জন্ম ও পরিচয় :
ঈশ্বর গুপ্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার অদূরে কাঁচরাপাড়ার এক সাধারণ বৈদ্য পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরিনারায়ণ গুপ্ত, মা শ্রীমতি দেবী। শৈশবে মাতৃবিয়োগ হওয়ায় তাঁর পিতাপুনরায় বিবাহ করেন। তিনি অল্প বয়সেই কলকাতায় দরিদ্র মাতামহের কাছে আসেন। অত্যন্ত দরিদ্রের মধ্যে লালিত-পালিত হয়ে তীক্ষ্ণ প্রতিভার গুণে অভিজাত সমাজে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
পত্র-সম্পাদকীয় কীর্তি
সাহিত্য কীর্তির মধ্যে স্বরচিত কাব্য ছাড়াও সাময়িক পত্র সম্পাদনা ও নব্য সাহিত্যিকদের মধ্যে উৎসাহ দান এবং পূর্ববর্তী সাহিত্যিক জীবনী বা রচনার উদ্ধার সাধন। তিনি ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে পত্ররূপে “সংবাদ প্রভাকর” সম্পাদনা করেন। ১৮৩৯ খ্রীস্টাব্দে পত্রিকাটি দৈনিক পত্রের মর্যাদা লাভ করে। কাব্যের ক্ষেত্রে নবযুগের মানসিকতা সূচিত হয় সংবাদ প্রভাকরেই।
রচনাকীর্তি
প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর গুপ্ত বিচিত্র প্রতিভাধর কবি ছিলেন। তিনি কলকাতার মহানগরীর জীবন যাত্রা নিয়ে রঙ্গকৌতুকে মেতে উঠেছিলেন। কোন কোন সমালোচক বলেছেন তিনি আধুনিক যুগের স্রষ্টা নন, তাঁর কবিতায় কোন “mes- sage of life” নেই। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে “রামপ্রসাদের কালীকীর্তন”(১৮৩৩), “ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবনবৃত্তান্ত”(১৮৫৫), “প্রবোধ প্রভাকর”(১৮৫৭), ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এবং তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় “হিত প্রভাকর”(১৮৬১), বোধেন্দুবিকাশ (১৮৬৩), এবং “সত্যনারায়ণ পাঁচালী” (১৮৮৩)। তিনি 'কলি নাটক' নামে একখানি নাটক রচনা করেন।
কবিতার বিষয় :
ঈশ্বরগুপ্ত তাঁর খণ্ড কবিতাগুলির জন্য বেশী বিখ্যাত। বিপুল সংখ্যক কবিতায় প্রকৃতি, ঈশ্বরতত্ত্ব, নীতিতত্ত্ব, স্বদেশপ্রেম ও নারীপ্রেম ও সমসাময়িক ঘটনা সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। তাই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে বাঙালী কবি বলেছেন। তাঁর রচনায় গার্হস্থ্য জীবনের খুঁটিনাটি দিক, আনারস, মাছ, বেগুন, লাউ, ফল কাঁটা, তাপসী মাছ, পাঠা, প্রভৃতি প্রাধান্য পেয়েছে।
দ্বৈতবাদতত্ত্ব
“কালীকীর্তনে” কালীর মহিমার স্থলে পার্থিব ভোগাকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য পেয়েছে। ঈশ্বর গুপ্ত দ্বৈতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন—
“তোমারি চরণ স্মরণ করি। তোমারি ভাবনা ধ্যানেতে ধরি।।
কাতরে তোমারে অন্তরে ডাকি। মনের বিষয় মনেতে রাখি।।”
বিদ্রূপতত্ত্ব:
ফিরিঙ্গি শিক্ষায় উদ্ধৃত বাঙালী মেয়ের প্রতি বিদ্রূপ—
“যত ছুঁড়িগুলো তুড়ি মেরে কেতাব হাতে নিচ্ছে যবে তখন এ.বি. শিখে বিবি সেজে বিলাতী বোল কবেই কবে।”
পরিহাসের পরিমণ্ডল :
তৎকালীন সমাজের নানা অনাচার ও বিশৃঙ্খলা পরিহাসের সঙ্গে ঈশার গুপ্ত বর্ণনা করেছেন। রঙ্গব্যঙ্গে উতরোল কবিতাগুলিতেই তাঁর প্রতিভা যথার্থ বিকাশের পথ খুঁজে পেয়েছে। বিলাতী মহিলা সম্বন্ধে উক্তি—
“বিড়ালাক্ষী বিধুমুখী মুখে গন্ধ ছুটে, আহা তায় রোজ রোজ কত 'রোজ' ফুটে।”
প্রকৃতিমূলক কৌতুক :
ঋতু বর্ণনেও বহিরাঙ্গিক কৌতুকরস পরিবেশিত হয়েছে। গ্রীষ্ম ঋতু
সম্পর্কে তিনি বলেছেন—
“একেবারে মারা যায় যত চাপা দেড়ে।
হাঁসফাঁস করে যত প্যাজ খোকা নেড়ে।।”
ঈশ্বর তত্ত্ব:-
ঈশ্বর অন্তর্যামী, জীবদেহে তাঁর অধিষ্ঠান। ঈশ্বর সন্ধানে যত্রতত্র খুরে সময় নষ্ট করা মুঢ়তা মাত্র। তাই গুপ্তকবি বলেছেন—
“এই তো রয়েছ তুমি অন্তরে আমার। অন্তর অন্তর তবে কেন ভাবি আর।।"
স্বদেশাস্ত্রম
ঈশ্বর গুপ্ত স্বদেশ প্রেমের প্রথম কবি। তাঁর স্বদেশপ্রীতি যথার্থভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর বাঙালিয়ানার কবিতায়—
“কতরূপে স্নেহ করি
দেশের কুকুর ধরি
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।”
ব্যঙ্গ-কৌতুক :
ঈশ্বরগুপ্তের ব্যঙ্গ কৌতুক প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন তিনি Realist ও Satirist. স্যাটায়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে “it pleases even when it hurts. স্যাটায়ারে সমষ্টিকে আঘাত করা হয়। ঈশ্বরগুপ্ত আশ্চর্যভাবে তা আয়ত্ত করেন, নিছক ব্যঙ্গরস সৃষ্টিতে ঈশ্বরগুপ্ত এক ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত স্যাটায়ারিষ্ট।
উপসংহার:
সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, ঈশ্বর গুপ্ত শুধু কবি ছিলেন না, ছিলেন
সাংবাদিক। সাহিত্য সমালোচনা, সমাজ ও ধর্মনীতি বিষয়ক সমসাময়িক ঘটনারবিচার বিশ্লেষণ প্রভৃতি বিচিত্র মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কাব্য ও সাংবাদিক উভয় স্থলেই তিনি তীক্ষ্ণ সমাজচেতনা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখে গেছেন। তিনি বাংলার সমাজের কবি, কলকাতা শহরের কবি, বাঙালীর গ্রাম্য দেশের কবি। তিনি পুরোনো ও নতুনের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে কবিতা রচনা করেন। তাই তিনি যুগসন্ধির কবি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
[নমস্কার বন্ধুরা, আজকের এই বিষয়টি যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই তোমরা আমাদের চ্যানেলে গিয়ে চ্যানেলটিকে ফলো করবে সেখানে আমরা নিত্য নতুন সাজেশন দিয়ে থাকি বিভিন্ন ক্লাসের কিংবা চাকরি বাকরির আপডেট দিয়ে থাকি। নিচে দেওয়া রইল চ্যানেল লিংক 👇]
WB New Job WhatsApp Group👇👇
ভূমিকা:
বাংলা কাব্যে অষ্টাদশ শতাব্দীর বিদায়ী মুহূর্তে মধুসূদনের আবির্ভাবের ঠিক পূর্বে আবির্ভূত হন ঈশ্বর গুপ্ত। অতীতের পুরোনো সুর, অন্যদিকে নতুন কালের পদধ্বনি— এ দুয়ের মধ্যবর্তী কবিমানস নিয়ে ঈশ্বর গুপ্তের আবির্ভাব। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, অন্যদিকে কবি। পুরোনো ও নতুনের সংঘাতের মধ্যে দণ্ডায়মান হয়ে কবিতা রচনা করেছিলেন। তাই তিনি যুগসন্ধির কবি নামে চিহ্নিত। অধ্যাপক সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁকে বলেছেন— 'The last of the Ancients' অর্থাৎ প্রাচীন ধারার শেষ কবি, আর অন্যদিকে তেমনি ছিলেন তিনি ‘The first of the Moderns' অর্থাৎ আধুনিক যুগের ধারার প্রথম কবি।”
জন্ম ও পরিচয় :
ঈশ্বর গুপ্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার অদূরে কাঁচরাপাড়ার এক সাধারণ বৈদ্য পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরিনারায়ণ গুপ্ত, মা শ্রীমতি দেবী। শৈশবে মাতৃবিয়োগ হওয়ায় তাঁর পিতা
পুনরায় বিবাহ করেন। তিনি অল্প বয়সেই কলকাতায় দরিদ্র মাতামহের কাছে আসেন। অত্যন্ত দরিদ্রের মধ্যে লালিত-পালিত হয়ে তীক্ষ্ণ প্রতিভার গুণে অভিজাত সমাজে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
পত্র-সম্পাদকীয় কীর্তি
সাহিত্য কীর্তির মধ্যে স্বরচিত কাব্য ছাড়াও সাময়িক পত্র সম্পাদনা ও নব্য সাহিত্যিকদের মধ্যে উৎসাহ দান এবং পূর্ববর্তী সাহিত্যিক জীবনী বা রচনার উদ্ধার সাধন। তিনি ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে পত্ররূপে “সংবাদ প্রভাকর” সম্পাদনা করেন। ১৮৩৯ খ্রীস্টাব্দে পত্রিকাটি দৈনিক পত্রের মর্যাদা লাভ করে। কাব্যের ক্ষেত্রে নবযুগের মানসিকতা সূচিত হয় সংবাদ প্রভাকরেই।
রচনাকীর্তি
প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বর গুপ্ত বিচিত্র প্রতিভাধর কবি ছিলেন। তিনি কলকাতার মহানগরীর জীবন যাত্রা নিয়ে রঙ্গকৌতুকে মেতে উঠেছিলেন। কোন কোন সমালোচক বলেছেন তিনি আধুনিক যুগের স্রষ্টা নন, তাঁর কবিতায় কোন “mes- sage of life” নেই। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে “রামপ্রসাদের কালীকীর্তন”(১৮৩৩), “ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবনবৃত্তান্ত”(১৮৫৫), “প্রবোধ প্রভাকর”(১৮৫৭), ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এবং তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় “হিত প্রভাকর”(১৮৬১), বোধেন্দুবিকাশ (১৮৬৩), এবং “সত্যনারায়ণ পাঁচালী” (১৮৮৩)। তিনি 'কলি নাটক' নামে একখানি নাটক রচনা করেন।
কবিতার বিষয় :
ঈশ্বরগুপ্ত তাঁর খণ্ড কবিতাগুলির জন্য বেশী বিখ্যাত। বিপুল সংখ্যক কবিতায় প্রকৃতি, ঈশ্বরতত্ত্ব, নীতিতত্ত্ব, স্বদেশপ্রেম ও নারীপ্রেম ও সমসাময়িক ঘটনা সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। তাই বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে বাঙালী কবি বলেছেন। তাঁর রচনায় গার্হস্থ্য জীবনের খুঁটিনাটি দিক, আনারস, মাছ, বেগুন, লাউ, ফল কাঁটা, তাপসী মাছ, পাঠা, প্রভৃতি প্রাধান্য পেয়েছে।
দ্বৈতবাদতত্ত্ব
“কালীকীর্তনে” কালীর মহিমার স্থলে পার্থিব ভোগাকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য পেয়েছে। ঈশ্বর গুপ্ত দ্বৈতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন—
“তোমারি চরণ স্মরণ করি। তোমারি ভাবনা ধ্যানেতে ধরি।।
কাতরে তোমারে অন্তরে ডাকি। মনের বিষয় মনেতে রাখি।।”
বিদ্রূপতত্ত্ব:
ফিরিঙ্গি শিক্ষায় উদ্ধৃত বাঙালী মেয়ের প্রতি বিদ্রূপ—
“যত ছুঁড়িগুলো তুড়ি মেরে কেতাব হাতে নিচ্ছে যবে তখন এ.বি. শিখে বিবি সেজে বিলাতী বোল কবেই কবে।”
পরিহাসের পরিমণ্ডল :
তৎকালীন সমাজের নানা অনাচার ও বিশৃঙ্খলা পরিহাসের সঙ্গে ঈশার গুপ্ত বর্ণনা করেছেন। রঙ্গব্যঙ্গে উতরোল কবিতাগুলিতেই তাঁর প্রতিভা যথার্থ বিকাশের পথ খুঁজে পেয়েছে। বিলাতী মহিলা সম্বন্ধে উক্তি—
“বিড়ালাক্ষী বিধুমুখী মুখে গন্ধ ছুটে, আহা তায় রোজ রোজ কত 'রোজ' ফুটে।”
প্রকৃতিমূলক কৌতুক :
ঋতু বর্ণনেও বহিরাঙ্গিক কৌতুকরস পরিবেশিত হয়েছে। গ্রীষ্ম ঋতু
সম্পর্কে তিনি বলেছেন—
“একেবারে মারা যায় যত চাপা দেড়ে।
হাঁসফাঁস করে যত প্যাজ খোকা নেড়ে।।”
ঈশ্বর তত্ত্ব:-
ঈশ্বর অন্তর্যামী, জীবদেহে তাঁর অধিষ্ঠান। ঈশ্বর সন্ধানে যত্রতত্র খুরে সময় নষ্ট করা মুঢ়তা মাত্র। তাই গুপ্তকবি বলেছেন—
“এই তো রয়েছ তুমি অন্তরে আমার। অন্তর অন্তর তবে কেন ভাবি আর।।"
স্বদেশাস্ত্রম
ঈশ্বর গুপ্ত স্বদেশ প্রেমের প্রথম কবি। তাঁর স্বদেশপ্রীতি যথার্থভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর বাঙালিয়ানার কবিতায়—
“কতরূপে স্নেহ করি
দেশের কুকুর ধরি
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া।”
ব্যঙ্গ-কৌতুক :
ঈশ্বরগুপ্তের ব্যঙ্গ কৌতুক প্রসঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র বলেছেন তিনি Realist ও Satirist. স্যাটায়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে “it pleases even when it hurts. স্যাটায়ারে সমষ্টিকে আঘাত করা হয়। ঈশ্বরগুপ্ত আশ্চর্যভাবে তা আয়ত্ত করেন, নিছক ব্যঙ্গরস সৃষ্টিতে ঈশ্বরগুপ্ত এক ব্যক্তিত্ব চিহ্নিত স্যাটায়ারিষ্ট।
উপসংহার:
সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, ঈশ্বর গুপ্ত শুধু কবি ছিলেন না, ছিলেন
সাংবাদিক। সাহিত্য সমালোচনা, সমাজ ও ধর্মনীতি বিষয়ক সমসাময়িক ঘটনার
বিচার বিশ্লেষণ প্রভৃতি বিচিত্র মননশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কাব্য ও সাংবাদিক উভয় স্থলেই তিনি তীক্ষ্ণ সমাজচেতনা ও বাস্তব জীবনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রেখে গেছেন। তিনি বাংলার সমাজের কবি, কলকাতা শহরের কবি, বাঙালীর গ্রাম্য দেশের কবি। তিনি পুরোনো ও নতুনের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে কবিতা রচনা করেন। তাই তিনি যুগসন্ধির কবি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
[নমস্কার বন্ধুরা, আজকের এই বিষয়টি যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই তোমরা আমাদের চ্যানেলে গিয়ে চ্যানেলটিকে ফলো করবে সেখানে আমরা নিত্য নতুন সাজেশন দিয়ে থাকি বিভিন্ন ক্লাসের কিংবা চাকরি বাকরির আপডেট দিয়ে থাকি। নিচে দেওয়া রইল চ্যানেল লিংক 👇]
WB New Job WhatsApp Group
👇👇
0 Comments