পরিবেশের জন্য ভাবনা (Concerns about Our Environment)
→ আজ থেকে প্রায় 1400 কোটি বছর আগে এই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল। আজ থেকে 4500 কোটি বছর আগে এই পৃথিবীর সৃষ্টি
হয়েছিল। আজ থেকে প্রায় 350 কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছিল।
. প্রাণের সৃষ্টির আগে পর্যন্ত পৃথিবীর পরিবেশ প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত ছিল- (i) লিথোস্ফিয়ার (অশ্মমণ্ডল), (ii) হাইড্রোসিলার (বারিমণ্ডল), (iii) অ্যাটমোস্টিয়ার (বায়ুমণ্ডল)।
প্রাণের সৃষ্টির পর চতুর্থ ভাগটি যুক্ত হয়— (iv) বায়োস্ফিয়ার (জীবমণ্ডল)। → অ্যাটামোস্ফিয়ার বা বায়ুমণ্ডল : ভূপৃষ্ঠ থেকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে বাস্তব গ্যাসগুলির যে ঘনীভূত, হালকা, অদৃশ্য আস্তরণ পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে তাকেই বায়ুমণ্ডল বলে।
→ বায়ুমণ্ডলের শ্রেণিবিভাগ : (i) রাসায়নিক উপাদানের উপর ভিত্তি করে— (a) হোমোস্ফিয়ার (সমসত্ত্বমণ্ডল), বিস্তৃতি - ভূপৃষ্ঠ
থেকে ৪৪ কিমি পর্যন্ত প্রায়। (b) হেটেরোস্ফিয়ার (বিষমমণ্ডল), বিস্তৃতি — ৪৪ কিমি থেকে মহাশূন্য (10,000 km) পর্যস্ত। (ii) উচ্চতা, উন্নতা এবং চাপের তারতম্যের উপর ভিত্তি করে
(a) ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুদ্ধমণ্ডল → বিস্তৃতি → ভূপৃষ্ঠ থেকে 10 km প্রায়।
উন্নতা +15°C থেকে 60°C (উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা এবং চাপ হ্রাস পায় প্রতি কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে উন্নতা কমে 6.5°C হারে,
একেই নরমাল ল্যাপস রেট বলে)।
বৈশিষ্ট্য → ধুলো, ধোঁয়া, মেঘ থাকায় ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত হয় (তাই অপর নাম ক্ষুব্ধমণ্ডল) - ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ভয়তা, চাপ (সাধারণত 1 atm 5) জলচক্র নিয়ন্ত্রণ করে - সমগ্র বায়ুমণ্ডলের 75% উপাদান এবং জীবজগতের বেশিরভাগ প্রজাতি এই স্তরে বসবাস করে। (b) স্ট্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডল → বিস্তৃতি 10 50 km (প্রায়)। উন্নতা - 60°C - 0°C প্রায় (উচ্চতা বৃদ্ধিতে উয়তা বৃদ্ধি পায়, কারণ এই স্তরের মাঝে অবস্থিত ওজোন স্তর UV রশ্মি শোষণ
করে উচ্চতা বাড়িয়ে দেয়)। বৈশিষ্ট্য → ধুলো, ধোঁয়া, মেঘ না থাকায় ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত হয় না। (তাই অপর নাম শান্তমণ্ডল) – বিমান চলাচল করে-এর মাঝে থাকা ওজোন স্তর সূর্য থেকে আসা UV রশ্মিকে শোষণ করে পৃথিবীকে UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে (তাই অপর
নাম সৌরপর্দা)।
(c) মেসোস্ফিয়ার বিস্তৃতি 50 km 80km (প্রায়)।
PC - (-100°C) (প্রায়)।
বৈশিষ্ট্য → বায়ুমণ্ডলের শীতলতম স্তর – কোনো বিশেষ ঘটনা ঘটে না (অপর নাম তাই উপেক্ষিত স্তর)।
(d) থার্মোস্ফিয়ার বা আয়নোস্ফিয়ার → বিস্তৃতি 80km 500km (প্রায়)।
(e) এক্সোস্ফিয়ার → বিস্তৃতি 500 1600 km (প্রায়) go→ 1200 C-2000°C (m)
বৈশিষ্ট্য → এই স্তরে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং স্পেস স্টেশন লক্ষ করা যায়।
Spe-100°C-+1200°C () বৈশিষ্ট্য → এই স্তরে সূর্য থেকে আসা UV, X, Y ইত্যাদি রশ্মি শোষিত হয় ফলে উচ্চতা অত্যন্ত বেড়ে যায় (তাই অপর নাম থার্মোস্ফিয়ার) — উচ্চাগুলি এই স্তারের মধ্যেই পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয় (তাই অপর নাম তারাখসা স্তর) – মেরুজ্যোতি বা অরোরা দেখা যায়। — বেতার তরঙ্গা
f) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার → বিস্তৃতি 1600 – মহাশূনা - এই স্তরে ভ্যান অ্যালেন বিকিরণ বলয় দেখা যায়। → প্রতি দুটি স্তরের মাঝে স্থির ঊষ্ণতাযুক্ত 'সমোয়' অঞ্চল লক্ষ করা যায়। যেমন- ট্রাপোপজ, স্ট্যাটোপ, মেসোপজ ইত্যাদি। তরল বা গ্যাসে তাপ সঞ্চালনের ফলে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। এর ফলেই বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, বৃষ্টি ইত্যাদি ঘটে।
→ ওজোন স্তর → স্ট্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অবস্থিত আঁশটে গন্ধযুক্ত O, দ্বারা গঠিত স্তর, যা সূর্য থেকে আসা ক্ষতিকর UV রশ্মিকে
শোষণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এখানে UV রশ্মির প্রভাবে O, ভেঙে O, (O, UV, O+ 0.0, + 0 0 ) এবং 0, ভেঙে O2 (O, UV, O2 + O) গঠনের মাধ্যমে একটি গতিশীল সাম্যের সৃষ্টি হয়। O O 2, N 2, CO2 নিষ্ক্রিয় গ্যাস ওজোন স্তরের ক্ষতি করে না, কিন্তু CFC গ্যাস O-কে ভেঙে দেয় (CFCI, UY,
CFCI, + CI. Cl + 0, CIO O CIO + O → C + 20 ) এবং NO, বা NO. O--কে ভেঙে দেয় (NO, LV, NO + 0.
NO+0,→ NO, +0₂) ওজোন স্তর ধ্বংসের ফলে চামড়ার রোগ বা ক্যানসার- চোখে ছানি পড়া - গাছের ক্লোরোফিল নষ্ট হওয়া অঙ্কুরোদ্গম ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি লক্ষ করা যায়। → গ্রিনহাউস → বিশেষ কাচের ঘর যেখানে কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অবলোহিত তরঙ্গ (এটি সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ বয়ে আনে) ঢুকতে - বীজের
পারে কিন্তু প্রতিফলিত বেশি । যুক্ত IR রশ্মি বেরোতে পারে না। ফলে ঘরের উন্নতা বেড়ে যায় এবং বরফের দেশে চাষাবাদ সম্ভব হয়। > → গ্রিনহাউস প্রভাব → গ্রিনহাউসের অনুরূপ ঘটনা ঘটায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কয়েকটি গ্যাস (CO, > CH > CFC > O NO > জলীয় বাষ্প → গ্রিনহাউস গ্যাস ক্ষতির ক্রমানুযায়ী) কম A. যুক্ত IR-কে আসতে দেয় কিন্তু বেশি । যুক্ত প্রতিফলিত IR-কে ফিরতে দেয়
না। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উন্নতা বৃদ্ধি পায়। ঘটনাটিকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে, ঘটনার ফলকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে। → গ্রিনহাউস এফেক্ট-এর কুফল - গ্লোবাল ওয়ার্মিং (উষ্ণতা বৃদ্ধির হার 0.05°C প্রতি বছর) — হিমবাহের বরফ গলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি—মহামারি সৃষ্টিকারী রোগ জীবাণুর অনুকূল আবহাওয়া সৃষ্টি – কিছু প্রাণী-উদ্ভিদের চির বিলুপ্তিকরণ।
[ শক্তির যথাযথ ব্যবহার তথা স্থিতিশীল উন্নয়ন → ভবিষ্যতের উন্নয়ন ও চাহিদাকে মাথায় রেখে প্রচলিত এবং অপ্রচলিত শক্তি
উৎসগুলির যথাযথ ব্যবহার করে বর্তমান সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
0 প্রচলিত শক্তি উৎস কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস-এদের ব্যবহার পরিবেশের জন্য হানিকারক।
[] অপ্রচলিত শক্তি উৎস - সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদি এদের ব্যবহারের সুফল অফুরন্ত ঘটায় না পুনর্নবিকরণযোগ্য। C] অপ্রচলিত শক্তি উৎস ব্যবহারের অসুবিধা → প্রাপ্ত শক্তির পরিমাণ চাহিদার সাপেক্ষে কম প্রাথমিক স্থাপনার খরচ খুব বেশি পরিবেশ দূষণ
->
পরিমাণে আছে।
সবসময় পাওয়া না যেতেও পারে উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাব। -
→ জ্বালানির তাপনমূল্য - একক ভর বা আয়তনের জ্বালানির সম্পূর্ণ দহনে যে পরিমাণ তাপশক্তি নির্গত হয়। ব্যবহারিক একক KJ/g 1
H2 > LPG > CNG > CH > পেট্রোল > কেরোসিন > ডিজেল > বায়োগ্যাস > কয়লা > কাঠ > খুঁটে (তাপনমূল্যের ক্রম)। সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয় তিনটি উপায়ে → সৌরকোশ (প্রধান উপাদান সিলিকন, একটি কোশ থেকে প্রাপ্ত বিভব 0.5V) – সোলার
কুকার (অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়) - সোলার হিটার। → বায়ুশক্তি → এর সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় (ন্যূনতম বেগ দরকার 15 km/h) - Wind
energy farm তামিলনাড়ুর দেখা যায় সাগরদ্বীপ, পুরী, কন্যাকুমারিকা ইত্যাদি জায়গায়। → পারমাণবিক শক্তি → ব্যবহারের প্রধান অসুবিধা তেজস্ক্রিয় বর্জ্য –এর সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি হল –
কালপঞ্চম, মহারাষ্ট্রের তারাপুর ইত্যাদি।
বায়োমাস শক্তি → কঠিন বায়োমাস - কাঠ, খুঁটে। তরল বায়োমাস - বায়োইথানল, বায়োডিজেল। গ্যাসীয় বায়োমাস মিথামোজেনিক ব্যাকটেরিয়া (মিথানোকক্কাস, মিথানো ব্যাকটেরিয়াম) দ্বারা জীবদেহের পচন ঘটিয়ে বায়োগ্যাস (CH) উৎপাদনের পদ্ধতি হল মিথানোজেনেসিস। বায়ো গ্যাস।
নামে পরিচিত – কয়লাস্তর দ্বারা অধিশোষিত মিথেন, পাওয়া যায় -- রানিগঞ্জে। CBM-এর মধ্যে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস মিশে থাকে না তাই একে সুইট গ্যাস বলে। মিথেন হাইড্রেট (4CH, 23H, O) → সমুদ্রের তলায় অতিরিক্ত চাপে এবং শীতলতায় তালের অণুর সঙ্গে জমে থাকা কাপরে মিথেন। হাইড্রো মিথেন, মিথেন আইস, ফায়ার আইস ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এটির নিষ্কাশন খুব বিপজ্জনক কারণ এটি সমুদ্রের তলায় বিস্ফোরণ ঘটে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে। দাহা, এক্ষেত্রে
→ কয়লাখনির মিথেন CBM Coal Bed Methane, CMM
0 Comments